শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
The Daily Post

পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখর পত্নীতলা 

পত্নীতলা (নওগাঁ) প্রতিনিধি 

পরিযায়ী পাখির কলতানে মুখর পত্নীতলা 

নওগাঁর পত্নীতলায় পরিযায়ী পাখির গুঞ্জণে বিভিন্ন এলাকা মুখরিত হয়েছে। তীব্র শীতের সাথে পাল্লা দিয়ে পরিযায়ী পাখিদের সমাগম ঘটেই চলছে। সেই সাথে প্রতিদিনই বাড়ছে পরিযায়ী পাখি প্রেমিদের মিলন মেলা। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, পাখি প্রেমিদের অপরূপ দৃশ্য নয়নাভিরাম দৃষ্টি কেড়ে নেয় সবার সকাল না হতেই। 

মানুষের সাড়া শব্দ পেলেই দল বেঁধে ঝাঁকে-ঝাঁকে পাখিগুলো নিরাপদ দূরত্বে উড়ে যায়, আবার কিছুক্ষণ পরই চলে আসে। দু-ডানা মেলে উড়ে যাওয়ার দৃশ্য মোবাইলফোনের ক্যমারায় ছবি ও ভিডিও ধারণ করছেন অনেকেই। 

উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার মাদ্রাসাপাড়া-আলহেরাপাড়া মাঠ, নজিপুর ইউনিয়নের কাঞ্চন গ্রামের হযরত জহির উদ্দীন (র.) এর মাজার শরিফ আমবাগান ও কাঞ্চন দীঘি, তদসংলগ্ন আত্রাই নদী ও কাঁটাবাড়ি এলাকার আত্রাইনদী তীরবর্তী এলাকায়, দিবর দীঘি, ঘুখসির বিল, টেপা বিলে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি অভয়াশ্রম ভেবে আশ্রয় নেয় বলে স্থানীয় লোকেরা জানিয়েছেন। 

পরিযায়ী পাখির প্রজাতিগুলো হচ্ছে- শামুখখোল, চখাচখি, পান কৌড়ি, পাতি হাঁস, টিকি হাঁস ও গিরি হাঁস। উপজেলার নজিপুর পৌর এলাকার আলহেরাপাড়ার বাসিন্দা পাখি প্রেমী ইউনুছার রহমান মাস্টার জানান, ‘প্রতি বৎসরের ন্যায় এবার অনেক বেশি পরিযায়ী পাখির আগমন ঘটেছে। 

উল্লেখ্য উপজেলার নিরাপদ আশ্রয় এলাকা হিসেবে বিশেষভাবে চিহ্নিত কাঞ্চন গ্রামের হযরত জহির উদ্দীন র.-এর মাজার শরিফ ও কাঞ্চন দীঘি এবং তদসংলগ্ন আত্রাই নদী, দিবর দীঘিসহ অন্য জায়গায় নিরাপদে আশ্রয় নেয় পরিযায়ী পাখি।’ 

বাংলাদেশ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ফেডারেশনের (বিবিসিএফ) সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পত্নীতলা উপজেলা জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির সভাপতি সুমন কুমার শীল বলেন, ‘আমরা ওই সব পরিযায়ী পাখিগুলোকে রক্ষায় বিভিন্নভাবে প্রচারণার কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও জানান, পরিযায়ী পাখিগুলোকে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য অত্র এলাকায় যোগাযোগ বৃদ্ধিকল্পে রাজশাহী বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগকে পরিদর্শনের জন্য জানানো হয়েছে।’

পত্নীতলা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসার মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাখি শিকার বা হত্যার বিষয়ে আমরা সমসময় মানুষকে নিরুৎসাহিত করি। কোনো পাখি আহত হলে আমরা চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকি।

টিএইচ